ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লাশের ওপর দিয়ে দেশ এগিয়ে যেতে পারেনা

বিশেষ প্রতিবেদক:
লাশের ওপর দিয়ে কোন দেশ এগিয়ে যেত পারেনা। দেশে বারবার লাশ ঝরছে। অথচ খুনীরা অধরাই থেকে যাচ্ছে। হাসিনা-তনুর মতো অসংখ্য লাশের ওপর দাঁড়িয়ে আছে দেশ। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে সকল ঘাতকের বিচার হওয়া উচিত। কক্সবাজার সরকারী কলেচ ছাত্রী হাসিনা আকতার হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ১৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে এক্টিভ সিটিজেন্স এন্ড ইয়ুথ এন্ডিং হাঙর বাংলাদেশ’র আয়োজনে কক্সবাজার আদালত ভবনের সামনের সড়কজুড়ে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
এতে বক্তারা আরো বলেন, দেশে আর কোন ইয়াছিন আরাফাত যেন জন্ম না হয়। আমরা আর কোন খুনের ঘটনা দেখতে চাইনা। মেধাবী ছাত্রী হাসিনার নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার হতে হবে।
তারা ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন রেখে বলেন, হাসিনা হত্যাকান্ডের ১৯দিন পেরিয়ে গেল। এখনো কোন গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ? একজন নিশ্চিত খুনীকে গ্রেফতার করতে কিসের বাধা? খুনী কিভাবে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বেড়ায়? খুনীর কোন দলীয় পরিচয় থাকতে পারেনা। খুনীকে খুনী হিসাবে বিচার করা দরকার। অপরাধ করে একবার পার পেয়ে গেলে বারবার অপরাধ সংঘটিত হয়।
মানববন্ধনে বক্ব্য রাখেন কক্সবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র বেলাল উদ্দিন জয়, আরফাত উদ্দিন, কক্সবাজার সিটি কলেজের ছাত্রী সোনালী চাকমা, রিপন প্রমুখ।
এতে কক্সবাজার সরকারী কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষ আন্দোলনের প্রতি একাত্বতা পোষন করে।
প্রসঙ্গত, ২৫ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফদন্ডী মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে ইয়াছিন আরাফাতের সাথে হাসিনা আকতারের বিয়ে হয়। ২৯ মার্চ হাসিনা আকতারের ঝুলন্ত লাশ শ্বশুর বাড়ী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসিনা কক্সবাজার সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের (অনার্স) তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী এবং কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নাপ্পাঞ্জাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মোনাফের মেয়ে।
এ ঘটনায় হাসিনাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে অভিযোগ এনে স্বামী ইয়াছিন আরাফাতকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহত হাসিনার বড়ভাই জাকির হোসেন। মামলা নং জিআর-৮৩/২০১৬। ৩০ মার্চ বুধবার রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো- দেবর জাহেদুল ইসলাম, শ্বশুর মোস্তাক আহমদ, শ্বাশুড়ী হোসনে আরা বেগম ও জা রেবেকা বেগম।

পাঠকের মতামত: